বুধবার সন্ধ্যায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতাল গিয়েছিলেন ওই প্রবাসী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার এক কাতার প্রবাসী (৩০) করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করা হবে শুনে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে পালিয়ে যান বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন।
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যায় জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে কাতার প্রবাসী ওই রোগী নাসিরনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ বি এম মুসা চৌধুরী প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কাতার প্রবাসী ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
পরে তিনি হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়ার জন্য চতুর্থ তলায় যান। কিছুক্ষণ পরই ওই রোগী হাসপাতালের চতুর্থ তলা থেকে নেমে ফের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে বলে তাকে জানান। এসব শোনার পর ওই প্রবাসী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ বি এম মুছা চৌধুরী জানান, “ওই রোগীর শরীরের তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছিল। তিনি নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছিলাম। করোনার লক্ষণ থাকায় তাকে পরীক্ষা করা হবে শুনে ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান ওই রোগী। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানোর আগেই তিনি সরে পড়েন।”
ডা. শওকত হোসেন বলেন, “বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে জানানো হয়েছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, “বিদেশ ফেরতরা হোম কোয়ারেন্টাইন আইন না মানলে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রবাসীর ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
মতামত দিন