এ সময় প্রতিবেশিদের ডাকলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেনি
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় সর্দি, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার পর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ওই ব্যক্তির স্ত্রী প্রতিবেশী ও হাসপাতালে সহায়তা চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাতে উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ওই ব্যক্তির স্ত্রী জানান, তার স্বামী গত ২৪ মার্চ মঙ্গলবার সুস্থ অবস্থায় বাড়িতে আসেন। পরদিন থেকে তার সর্দি, জ্বর ও কাশি শুরু হয়। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ এনে তাকে খাওয়ানো হয়। পরে ২৭ মার্চ রাতে তার শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পায়। এ সময় প্রতিবেশিদের ডাকলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ, রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতাল এবং বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য বার বার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার স্বামী বিনা চিকিৎসায় মারা যান। এরপর থেকেই প্রতিবেশিরা তাদের এড়িয়ে চলছেন।
ওই নারী আরও জানান, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার পর মৃতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কীভাবে ও কোথায় লাশ দাফন হবে তা তিনি জানেন না। তিনি ও তার মেয়ে ঘরে লাশ রেখে অপেক্ষা করছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবির জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে লোকজন এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। আশপাশে ১৫টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বিধিমোতাবেক লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা'র সঙ্গে কথা বলেছেন। মৃত ব্যক্তি সর্দি, জ্বর, কাশি ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ছিলেন। সর্দি থাকায় জানানো হয়েছে তিনি করোনাভাইরাসে মারা যাননি। তবে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাতে বলা হয়। এছাড়া পিপিই পরিহিতদের মাধ্যমে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মতামত দিন