সাদুল্লাপুর উপজেলার হবিুল্লাপুর গ্রামে গত ১১ মার্চ এক বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা আক্রান্ত দু'জনও ছিলেন
গাইবান্ধায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা দুইজন নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে। তাদেরকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এক বিয়েবাড়ি ও গাইবান্ধা শহরের নিজ বাড়িতে ওই দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে এসে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (২৮ মার্চ) গাইবান্ধা সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ জানান, ঢাকার রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধি দল গত সোমবার গাইবান্ধায় এসে দুই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা বেশ কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করে। পরে গত বুধবার রাতে তারা ঢাকার উদ্দেশে গাইবান্ধা ত্যাগ করেন। নমুনা পরীক্ষা শেষে শনিবার আইইডিসিআর জানায়, নমুনা দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে দু'জনের করোনাভাইরাস "পজিটিভ" এসেছে।
আবু হানিফ আরও জানান, আইইডিসিআর প্রতিনিধি দল প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ২০০ জনকে সনাক্ত করেন। পরে উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করে তাদের মধ্যে ১০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এছাড়া এই ১০০ জনের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ কয়েকজনের নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনাভাইরাস বিষয়ক কন্ট্রোল রুম সুত্রে জানা যায়, গাইবান্ধায় শনিবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যক্তির সংখ্যা ৩১১ জন। এরমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি ১৮৩ জন এবং বিদেশি নয়জন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে ৮৫ জনের। আর আইসোলেশনে রাখা হয়েছে চারজনকে।
প্রসঙ্গত, সাদুল্লাপুর উপজেলার হবিুল্লাপুর গ্রামে গত ১১ মার্চ এক বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫ শতাধিক আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী অংশ নেয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা আক্রান্ত দু'জনও ছিলেন। তারা ওই বাড়িতে গত ১১, ১২ ও ১৩ মার্চ অর্ধশতাধিক লোকজনের সঙ্গে অবস্থান করেন।
গত ১৪ মার্চ বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান শেষে তারা গাইবান্ধা শহরে নিজ বাড়িতে চলে যান। এরপর ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অনেকে গত ২১ মার্চ গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের উপনির্বাচনে ভোট দেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান ও প্রত্যাহিক কাজকর্মে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। এরমধ্যেই গত ২২ মার্চ প্রবাসী ওই দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এই ঘটনার পর থেকে জেলা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মতামত দিন