এসময় করোনাভাইরাস আতঙ্কের কারণে বাসায় ঢুকতে বাধা দেওয়ায় ওই নারী চিকিৎসকের কাছে ক্ষমাও চান বাড়িওয়ালা
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় নারী চিকিৎসককে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার পর সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার একঘন্টার মধ্যে তাকে বাসায় পৌঁছে দেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ। এসময় ওই বাড়িওয়ালা ক্ষমাও চান ওই নারী চিকিৎসকের কাছে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) নোয়াখালীতে নারী চিকিৎসককে বাসায় ঢুকতে দিচ্ছে না, এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, বিষয়টি অবহিত হয়ে, “আমি ওই নারী চিকিৎসককে বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলী এর বাড়িতে পৌঁছে দেই।” সে সময় বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলী এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন বলেও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী ওই নারী চিকিৎসক বলেন, “বাড়িওয়ালা তার কৃতকর্মের জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন। এ মুহূর্তে বোনের বাসায় থেকে তিনি আগের মত চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে পারবেন, এজন্য তিনি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন - নোয়াখালীতে নারী চিকিৎসককে বের করে দিলেন বাড়ির মালিক
সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাঈনুল ইসলাম জানান, বাড়িওয়ালা মোহাম্মদ আলী তার সঙ্গে দেখা করে বলেন, এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত হন এবং না বুঝে এ রকম কাজ করার জন্য দু:খ প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, ওই নারী চিকিৎসক সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার নির্দেশিত সকল নিয়ম কানুন মেনে সার্বক্ষণিক রোগীদের সেবা দিয়ে আসছেন। তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামে রফিক মাস্টারের বাড়ির মোহাম্মদ আলীর বাসায় তার ছোট বোনের পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লায়।
গত ১৪ এপ্রিল বিকালে তার ছোটবোন তাদের ওই বাড়িতে যেতে না করেন। ওই দিন সন্ধ্যার সময় তিনি বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে, বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী তাকে অপমানজনক কথা বলে, করোনাভাইরাসের কারণে ওই বাসায় যেতে নিষেধ করেন।
মতামত দিন