ফোন বন্ধ থাকায় তার বাড়িও শনাক্ত করে লকডাউন করতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা এলাকায় ঢাকা ফেরত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী (৪০) পালিয়েছেন। বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার ওই ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে। এর পর থেকেই নিরুদ্দেশ রয়েছেন তিনি।
বগুড়ার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ও ব্যক্তি ঢাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত। গত ১০ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে বগুড়ায় ফিরে আসেন। এ সময় তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনও লক্ষণ না দেখা গেলেও ঢাকা থেকে ফিরেছেন এই কারণে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করেন উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকাল নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। এর প্রেক্ষিতে কিছুক্ষণ পর স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ফুলতলা এলাকায় তার বাড়ি লকডাউন করতে গিয়ে তাকে খুঁজে পাননি।
প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন বর্তমানে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে ফিরছেন। তাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে পুরো ফুলতলা এলাকা লকডাউন করে দিতে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তারা।
বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর খোরশেদ আলম জানান, “ওই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছেন। তাকে না পাওয়ায় এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।“
শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোতারব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ওই ব্যক্তির ফোন বন্ধ থাকায় তার বাড়িও শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছেনা।“
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, “বুধবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাকে না পাওয়া গেলে প্রয়োজনে প্রশাসনকে পুরো ফুলতলা লকডাউন করতে বলা হবে।“
মো: নাজমুল হুদা নাসিম, বগুড়া
মতামত দিন