তার বাড়ি ও শ্বশুড়বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী (৩৫) বাড়িতে না থেকে মাস্ক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন রাস্তায়। প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে শহরের লিটল ব্রিজ এলাকা থেকে আটকের পর তাকে রাণীনগর উপজলোর বিলপালশায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই ব্যক্তি উপজেলার খাগড়া গ্রামের বাসিন্দা।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল হক বলেন, তিনি গাজীপুরে থাকতেন। কয়েকদিন আগে বাড়িতে ফিরলে গ্রামবাসীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য বিভাগ তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এরপর তাকে বাড়িতেই থাকার জন্য বলা হয়।
কিন্তু বুধবার সকাল ৯টার দিকে জেলার করোনাভাইরাস আক্রান্তদের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পর স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন আক্রান্তদের খোঁজ-খবর নিতে শুরু করে। তখন তার অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া না গেলে বিষয়টি পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় নওগাঁ সদরে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়।
তার বাড়ি ও শ্বশুড়বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলেও জানান রাণীনগরের ওসি।
পুলিশ আরও জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে তার স্ত্রী একটি সন্তান প্রসব করেন। সদ্যজাত শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে নওগাঁ শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়। স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে সেও ওই ক্লিনিকে যাওয়ায় সেটিকে লকডাউন করা হয়েছে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দি হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় থানার ওসি (তদন্ত) ফয়সাল বিন আহসানের নেতৃত্বে শহরের লিটল ব্রিজে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপর পিপিই পরিয়ে তাকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং ওই ক্লিনিকটিকে লকডাউন করা হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ঢাকা ট্রিবিউনকে মুঠোফোনে বলেন, “আমি মাস্ক পরে বাইরে ঘুরছি যাতে কারও সমস্যা না হয়।"
জেলা সিভিল সার্জন ডা. আ.ম. আখতারুজ্জামান আলাল বলেন, করোনাভাইরাস পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর দ্রুত পুলিশকে জানানো হয়। বর্তমানে ওই ব্যক্তিকে হোমকোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে এবং তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে।
মতামত দিন