‘আমাদের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং ছোটবোনের গলা টিপে ধরে বাড়িওয়ালার ছেলে’
চলতি মাসের বাড়িভাড়া দিতে না পারায় রাজধানীর গুলশান এলাকায় তিন গারো নারীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে।
রবিবার (১৭ মে) গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন শুভ্রা ঘাগরা ও তার দুই মেয়ে মৌ ঘাগরা (২৫) ও ঝুমু ঘাগরা (১৭)।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বাড়িওয়ালা দাবি করেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে বাড়িতে অতিথি আসা নিয়ে ‘সামান্য ধস্তাধস্তি’ হয়েছে।
তবে হয়রানির শিকার শুভ্রা জানান, তার দুই মেয়েই বিউটি পার্লারে কাজ করে। চলমান সঙ্কটে দু'জনই চাকরি হারিয়েছেন। এমতাবস্থায় ১৭ তারিখে (রবিবার) বাড়িওয়ালা ভাড়া চাইলে তিনি আরও কিছুদিন সময় চান।
কিন্তু বিকেলে মেয়েরা ছোট্ট নাতনিকে নিয়ে বাজার করে ফিরলে বাড়ির সদর দরজা দিয়ে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
মৌ ঘাগরা বলেন, “দরজা খোলার জন্য বললে গার্ড কথা শোনেনি এবং দীর্ঘক্ষণ আমাদেরকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।”
তার অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরে বাড়িওয়ালার স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও ছেলে বাইরে এসে রাস্তার লোকজনের সামনেই তাদেরকে মারধর করেন।
“আমাদের জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয় এবং ছোটবোনের গলা টিপে ধরে বাড়িওয়ালার ছেলে।”
কিছুক্ষণ পরে বাড়ির ভেতর থেকে তাদের মা শুভ্রা ঘাগরা বেরিয়ে এলে তাকেও মারধর করে টেনে-হিঁচড়ে গেটের বাইরে বের করে দেন বাড়িওয়ালা নজরুল।
তবে বাড়িভাড়া না পেয়ে ওই তিন নারীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাতেমা।
তার দাবি, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিষেধ সত্ত্বেও তারা বাসায় অতিথি নিয়ে আসছিলেন। রবিবারও অতিথি নিয়ে এলে মেয়েগুলোর সঙ্গে আমার ধস্তাধস্তি হয়।”
এদিকে, বাড়িওয়ালার ছেলে ওই নারী ও তার এক মেয়েকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে দেন এবং অপরজনকে রাস্তায় সবার সামনেই চড়-থাপ্পর দেন বলে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
অবশেষে পুলিশের অনুরোধে ভুক্তভোগীরা বাসায় ঢুকতে পেরেছেন।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল জানান, এ ঘটনায় উভয় পক্ষই গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এসআই বেলাল আরও জানান, আমরা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, সেখানে ৪-৫ লোককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
মতামত দিন