অভিযুক্ত ডা. সুবোধ কুমারকে বদলি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ
টাঙ্গাইলের বাসাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা এক শিশুকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ওই চিকিৎসককে জুতাপেটা করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত সুবোধ কুমার দাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত। শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজুর রহমান।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে কানে ব্যথা নিয়ে মায়ের সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য চিকিৎসা নিতে আসে ভুক্তভোগী শিশুটি। সেখানে পৌঁছানোর পর জরুরি বিভাগে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন অভিযুক্ত মেডিকেল অফিসার সুবোধ কুমার দাস। পরে বহির্বিভাগে রোগী দেখতে ৫ টাকা লাগে বলে শিশুটির মাকে জানান তিনি। এ সময় ওই নারী সন্তানকে ডাক্তারের কাছে রেখে টাকা খুচরা করতে বাইরে যান। এই সুযোগে ওই শিশুকে যৌন হয়রানি করেন সুবোধ।
পরে মা ফিরে এলে শিশুটি সব কথা জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ করেন ভুক্তভোগীর মা। এতে হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন ভুক্তভোগীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত চিকিৎসক সুবোধকে জুতাপেটা ও মারধর করে।
খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজুর রহমান বলেন, শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত মেডিকেল অফিসার সুবোধকে অন্যত্র বদলি করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ইউএনও শামছুন নাহার স্বপ্না ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করি। কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ করেনি। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. সুবোধ কুমার দাস বলেন, “আমরা বিভিন্ন সময় রোগী দেখি। এতে যদি কেউ খারাপ কিছু মনে করে তাতে আমার কিছু বলার নাই।”
মতামত দিন