গত মঙ্গলবার এনায়েতপুর থেকে ৭৩জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি স্থলচর এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ঘটনাস্থলেই শিশুসহ দু’টি লাশ এবং পরে আরো তিনটি লাশ উদ্ধার হয়
সিরাজগঞ্জের চৌহালীর দুর্গম স্থল ইউনিয়নে যমুনা নদীতে যাত্রী বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আরো চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে শিশুসহ ৯জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত সাতযাত্রী।
চৌহালীর ইউএনও দেওয়ান মওদুত আহম্মেদ, ওসি রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস ও এনায়েতপুর থানার ওসি মোল্লাহ মাসুদ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর চৌহালীর আজিমুদ্দিন মোড়, ঘুষুরিয়া ও স্থল ইউনিয়নের
চালুহারা থেকে আরো চারটি লাশ ভেসে ওঠে। এলাকাবাসী লাশগুলি উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন। এদের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মানিকগঞ্জের সিংরাইল থানার গোবিনহারা গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে আলোক মিয়া (৩০)।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অধিন জেলার ক্ষয়রাতি তহবিল থেকে নিহতের পরিবারের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকার অনুদান দিতে চৌহালী ও বেলকুচির ইউএনওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নৌকাডুবিতে জেলার বাইরের কেউ মারা গেলে সে জেলার ডিসিদের একই ধরনের উদ্দ্যোগ নিতে অনুরোধ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার এনায়েতপুর থেকে ৭৩জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি স্থলচর এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুসহ দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে আরো তিনটি লাশ উদ্ধার হয়। এছাড়া সেদিন জীবিত অবস্থায় আরও ৫৭জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। যাত্রীদের অধিকাংশই ধানকাটা শ্রমিক ছিলেন।
মতামত দিন