তার বাড়িটি লকডাউনসহ সারাদিন তিনি যেসব জায়গায় ঘুরেছেন, সেসব জায়গা ও ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে তিনটি হাসপাতাল ঘুরে শেষে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার যুবক শুকুর আলী (২৯)। মৃতের স্বজনরা এমন অভিযোগ করলেও চিকিৎসকরা বলছেন, সংক্রমণের লক্ষণ থাকলেও তিনি বিষয়টি জানাননি।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দুর্গানগর ইউনিয়নের বজ্রাপুর গ্রামের বাড়িতে মারা যান শুকুর। তিনি কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কর্মরত ছিলেন।
নিহতের ভাই শাহাদত আলী বলেন, “গত দু’দিন আগে গাজীপুর থেকে বাড়ি ফেরার পর তার তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে তাকে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভেন্টিলেশন নেই, এমন কথা বলে তাকে সদর উপজেলার বাগবাটি কোভিড হাসপাতালে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে গেলেও ভর্তি না করে কোভিড পরীক্ষার সনদ চাওয়া হয়। এরপর আমরা সরাসরি শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে যাই। সেখানে গিয়ে করোনার পরীক্ষা করতে পারিনি। বিনা চিকিৎসায় মারা গেলো আমার ভাই।”
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই যুবক সকালে হাসপাতালে এলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গের কথা প্রকাশ করেননি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, মারা যাওয়ার পর জানা গেছে যে, তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল। উপসর্গ নিয়ে তার হাসপাতাল যাওয়ার বিষয়টি আমরা মোটেই অবগত নই।
উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান জানান, আপাতত তার বাড়িটি লকডাউনসহ সারাদিন তিনি যেসব জায়গায় ঘুরেছেন, সেসব জায়গা ও ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, মৃতের শরীর থেকে নমুনা নেওয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যদের নমুনা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
মতামত দিন