সুমাইয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন তার মা নুজহাত সুলতানা
নাটোর সদরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী সুমাইয়া হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করার পর আদালতে পাঠিয়েছে
পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো সুমাইয়ার শাশুড়ি সৈয়দা মালেকা আক্তার ও ননদ জাকিয়া ইয়াসমিন যুথি।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকেলে শহরের বড়হরিশপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যার পর তাদের কোর্টে চালান দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করার প্রস্তুতি চলছে৷ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
এর আগে সোমবার রাতে সদর উপজেলার হরিশপুর বাগানবাড়ি এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে সুমাইয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন তার মা নুজহাত সুলতানা।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- নিহতের স্বামী মোস্তাক হোসাইনসহ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
মামলায় বাদী দাবি করেছেন, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আসামিরা প্রমাণ নষ্ট করে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে সুমাইয়ার শ্বশুর জাকির হোসেন ফোন করে সুমাইয়ার মাকে জানান, তার মেয়ে অসুস্থ, হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে সুমাইয়ার মরদেহ দেখতে পান স্বজনরা। তখন হাসপাতালে শ্বশুরবাড়ির কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সুমাইয়ার গলা ও হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তারা।
ঘটনাটি সদর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
সুমাইয়ার চাচা আব্দুল মোমিন জানান, দীর্ঘদিন প্রেম করে গত বছরের ১৪ এপ্রিল মোস্তাকের সঙ্গে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। মোস্তাক আগে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন, এখন বেকার। বিয়ের পর সে মাঝে মাঝে শ্বশুর বাড়িতে থাকতো।
মতামত দিন