৬ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া যাত্রীদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের শরীর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি সরকার
আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। এর আগে ৬ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ইতালির রোমে অবতরণ করা যাত্রীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) এমন সিদ্ধান্ত নিলো ইতালি সরকার।
নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশি কোনো নাগরিক কিংবা বাংলাদেশ থেকে আগত অন্য কোনো দেশের নাগরিক ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে না। এর আগে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের সব ফ্লাইট এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইতালি সরকার।
বৃহস্পতিবার বিমান সংস্থাগুলোর জন্য এ বিষয়ে একটি নোটিশ টু এয়ারম্যান (নোটাম) দিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশি যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলো।
একই সাথে গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া ৫০০-৬০০ বাংলাদেশিকে খুঁজে বের করে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর আগে বুধবার কাতার এয়ারওয়েজের দুটি ফ্লাইটে ইতালি যাওয়া ১৬৫ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “বাংলাদেশি নাগরিক কিংবা বাংলাদেশ থেকে আগত কোনো দেশের নাগরিকের ইতালি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ৮ জুলাই থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।”
এদিকে, অবতরণের পর ইতালি প্রবেশ না করতে প্যারা ১৫১ বাংলাদেশি শুক্রবার দেশে ফিরে আসবেন বলে বিমান বন্দর সূত্রে জানা গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ওই বাংলাদেশিদের বিমান থেকে নামতে দেয়া হয়নি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ব্রাজিল, আর্মেনিয়া, বাহরাইন, বসনিয়া, চিলি, দ্য ডমিনিকান রিপাবলিক, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, মাল্ডোভা, ওমান, পানামা ও পেরু থেকে আগতদের ইতালি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মতামত দিন