এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্তরা
গোপালগঞ্জে চালকের গলা কেটে ব্যাটারিচালিত ভ্যান ছিনতাইয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকৃত ভ্যানটি।
বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে ও পরদিন বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের টেকেরহাট, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া ও সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের ওমর কাজী (২২), একই গ্রামের সোহেল দাড়িয়া (৩২), কাশিয়ানী উপজেলার কলসী ফুকরা গ্রামের রবিউল (২৫) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর গ্রামের হানিফ (২৮)।
তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করা হয়েছে। একইদিনে গোপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্তরা।
গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসপি সার্কেল মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানান, অভিযুক্ত ওমর কাজী তার চাচাত ভাই সোহেলের সঙ্গে পরিকল্পনা করে গত ১৩ জুলাই বিকেল ৪ টায় পাশের গ্রামের পূর্বপরিচিত ভ্যানচালক শরিফুল খানকে ৩ শ’ টাকায় ভাড়া করে গোপালগঞ্জ শহরে নিয়ে যায়। শহরের লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ওমর একটি ছুরি কিনে চাচাত ভাই সোহেলের ভাড়া বাসায় গিয়ে ভ্যান চালক শরিফুলসহ ৩ জনকে নিয়ে গাঁজার আসর বসায়। সেখানে ওমর ও সোহেল ভ্যানের তালা ভেঙে ভ্যান চুরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এরপর ওমর ভ্যান চালক শরিফুলকে নিয়ে রাত ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ থেকে কোটালীপাড়ায় বাড়ির পথে রওনা দেয়। ভ্যানটি মাঝবাড়ি বাজারের কাছে পৌছলে চালক শরিফুকে খুন করে ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ওমর তার কোমরে থাকা ছুরি দিয়ে শরিফুলের গলায় আঘাত করে। এতে সে ভ্যান থেকে পড়ে যায়।
শরিফুল মারা গেছে মনে করে ওমর ভ্যানটি নিয়ে গোপালগঞ্জ চলে আসে। পরদিন সকালে সে তার চাচাত ভাই সোহেল ও রিকশাচালক হানিফের মধ্যস্থতায় রবিউলের কাছে ৮ হাজার টাকায় ছিনতাইকৃত ভ্যানটি বিক্রি করে।
এদিকে, আহত শরিফুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই পথচারী উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া ও পরে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
বর্তমানে শরিফুল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে মৃতুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
গ্রেফতারকৃতরা গোপালগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাশাপাশি তারা আদালতে এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
মতামত দিন