গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, এবছর জেলায় কোরবানির জন্য প্রাকৃতিকভাবে মোট ৩২ হাজার ৬শ’ ৪২টি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে
কোরবানি ঈদকে সমনে রেখে গোপালগঞ্জের খামারিরা সাড়ে ৩২ হাজারেরও বেশি গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এবছর বেশি দামে ঘাস, খড়, ভূষি ও কুড়া খাইয়ে খামারিরা এসব গরু প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করেছেন। তবে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এখনো গরু বিক্রি শুরু না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানিয়েছে, এবছর গোপালগঞ্জ জেলায় কোরবানির জন্য মোট ৩২ হাজার ৬শ’ ৪২টি গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। তবে জেলায় এবার কোরবানির গরুর চাহিদা প্রায় ৩১ হাজার। তাই গরু উদ্বৃত্ত থাকছে ১ হাজার ৬শ’ ৪২টি।
কোটালীপাড়া উপজেলার তারাইল গ্রামের খামারি অমল বাইন বলেন, “আমরা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে গরু মোটাতাজা করেছি। প্রতিবার কোরবানির ২০/২৫ দিন আগেই পাইকেররা আমাদের কাছ থেকে গরু নিয়ে নিয়ে যায়। তবে এবছর করোনাভাইরাসের মধ্যে পাইকারের দেখা নেই। গরু বিক্রি নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি।”
কোটালীপাড়া উপজেলার তারাইল গ্রামের খামারি রঞ্জন বাইন ও নির্মল মজুমদার বলেন, “গত ১০ বছর ধরে গরু মোটাতাজা করে বেশ ভালই আছি। আমরা প্রাকৃতিকভাবেই গরুগুলো মোটাতাজা করি। এবার করোনাভাইরাসের মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন অনলাইনে আমাদের গরু বিক্রিতে সহায়তা করলে আমরা উপকৃত হবো।”
কোটালীপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পলাশ কুমার দাস জানান, কোটালীপাড়া উপজেলার বিল এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবার চার থেকে ১৫টি গরু মোটাতাজা করে। এই পেশায় উপজেলার বিল এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। কোরবানির সময় এসব গরু বিক্রি করে তারা যাতে ভাল দাম পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আজিজ আল মামুন বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সমাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অনলাইনে গরু বিক্রিতে খামরিদের আমরা সহায়তা করছি। এতে খামারি ও ক্রেতারা হাটে না এসে ঘরে বসেই গরু ক্রয়-বিক্রি করবেন। এতে মধ্যসত্ত্বভোগী থাকবে না। তাই খামারি গরুর বেশি দাম পেয়ে লাভবান হবেন। মূলত করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”
মতামত দিন