পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত অপরাধ স্বীকার করেছে
রংপুর নগরীর হাজিরহাট শালমারা এলাকা থেকে মোজাহিদ নামে ৪ বছরের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবির নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হাজিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে নগরীর হাজিরহাট শালমারা ঝিলের পাড় গ্রামের হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই আবিরের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার একপর্যায়ে আবিরকে চড় মারে হাফিজুল। এ ঘটনার পর হাফিজুলের চার বছর বয়সী ছেলে মোজাহিদ খেলতে বের হয়। কিন্তু দুপুরের পর থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে হাজিরহাট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এরপরে পুলিশ ও স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে শিশুটির খোঁজে অনুসন্ধান চালায়। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ আবিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনে। জিজ্ঞাসাবাদে সে চড় মারার প্রতিশোধ হিসেবে শিশু মোজাহিদকে ডেকে এনে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করে।
সে জানায়, মরদেহ বাড়ির অদূরে একটি বাঁশঝাড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁশঝাড় থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
হাজিরহাট থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, শিশুটি নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ আবিরের গতিবিধি লক্ষ্য করছিলো। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা জানা যায়।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লা কাওছার বলেন, “ঘটনার পর পরই আমরা খুনিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। শুক্রবার আবির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছে।”
মতামত দিন