নরসিংদী জেলা এগিয়ে রয়েছে। এই জেলায় সরকারি অনলাইন প্লাটফর্মে ৫১৭টি পশু বিক্রি হয়েছে
এই বছর রেকর্ডসংখ্যক ২৭ হাজার পশু বিক্রির মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে অনলাইন পশুর হাট। শুক্রবার (৩১ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের যৌথ অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সারাদেশে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার কোরবানির পশু অনলাইনে বিক্রি হয়েছে। ডিজিটাল হাট, ডিজিটাল হাটের সাথে সম্পৃক্ত মার্চেন্ট ও ই-ক্যাব মেম্বারদের অনলাইনে বিক্রি হওয়া গরু, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৬ হাজার ৮০০। জেলাভিত্তিক সরকারি প্লাটফর্ম কমপক্ষে ৫ হাজার ৫০০ গরু-ছাগল বিক্রি করেছে।
এর মধ্যে নরসিংদী জেলা এগিয়ে রয়েছে। এই জেলায় সরকারি অনলাইন প্লাটফর্মে ৫১৭টি পশু বিক্রি হয়েছে। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যভুক্ত কোম্পানির অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে বিক্রিত পশু সাড়ে ৯ হাজারের কাছাকাছি। বিচ্ছিন্ন অন্যান্য প্লাটফর্ম থেকে ৫ শতাধিক গরু বিক্রির ধারণা পাওয়া গেছে।
সরকারি প্লাটফর্ম ফুড ফর ন্যাশন ৪ হাজার গরু বিক্রি ট্র্যাক করতে পেরেছে। এভাবে পুরো অনলাইন বাজারে প্রত্যক্ষ বিক্রি হওয়া পশুর সংখ্যা বের হয়ে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে আরও লাখখানেক কোরবানির পশু পরোক্ষভাবে এবারের বিভিন্নভাবে অনলাইন শপ থেকে বিক্রি করা হয়েছে এবং অন্তত ৫ লাখ গরু ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে প্রদর্শিত হয়েছে।
ডিজিটাল হাট সম্পর্কে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সফল করতে গিয়ে ডিএনসিসি, আইসিটি ডিভিশন ই-ক্যাব, আইএসএসএল, ধানসিঁড়ি ও সাদিক এগ্রোর সম্মিলিত টিমকে রাতদিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। নানা ধরনের জটিল ইস্যু ছিল এগুলো তারা আন্তরিকতার সাথে সমাধান করেছে। ৪০০ গরু জবাই করার ব্যবস্থাপনা আমি নিজে তদারক করছি। ঈদের দিন স্লটারিং হাউজে গিয়ে স্বশরীরে পুরো ব্যাপারটা দেখভাল করব।
তিনি নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন যেখানে সেখানে গরু জবাই না করেন এবং গরুর বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনকে সহযোগিতা করেন।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, “বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আগামীকাল আমরা ক্রেতাদের কাছে তাদের সেবা পৌঁছে দিতে যাচ্ছি। ক্রেতাদের সুবিধা এবং উদ্যোক্তাদের সুবিধা দুটোই আমাদের দেখতে হয়েছে। শুধুমাত্র ডিজিটাল হাট প্লাটফর্মকে ঘিরে এবার বেশ কয়েকজন নতুন অনলাইন উদ্যোক্তাও তৈরি হয়েছে।”
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. ইমরান হোসেন বলেন, “এই বিশাল কর্মযজ্ঞে ধাপে ধাপে মান বজায় রাখতে হয়েছে। বিশেষ করে নতুন করে যেহেতু ক্রেতাদের এই অনলাইন ব্যবস্থায় অভ্যাস করার জন্য তাদের সন্তুষ্টিকে আমরা প্রাধান্য দিয়েছি। কারণ তারা নতুন এই প্লাটফর্মের উপর আস্থা রেখেছেন।”
ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মো. আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, “পুরো প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি ধাপে আমাদেরকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে। প্রতিটি ধাপে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়েছে।”
মতামত দিন