বিভাগের ৬টি জেলায় মোট ৭০০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও শাস্তি না হওয়ায় বরিশাল বিভাগে বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে ৪০০টিরও বেশি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এসব বেআইনি প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করে না। এসব প্রতিষ্ঠানে নেই যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কারণে ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছে সাধারণ রোগীরা।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলায় মোট ৭০০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।
এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৪০০টিরও বেশি বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনোয়ার হোসেন জানান, জেলার ১২৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে ৮৬টির লাইসেন্স রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পরিবেশ, পরমাণু শক্তি দফতরের ছাড়পত্র এবং ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন ও ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন।
বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ডা. মাসুদ আলমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. মুন্সী মবিনুল হক বলেন, অর্ধেকেরও বেশি ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া চলছে। ফলে রোগীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
তিনি জানান, এই অবৈধ ব্যবসায় বেশ কিছু ভুয়া ডাক্তার জড়িত। ওইসব প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নেই।
বিগত সাত দিনে নগরীর দু'টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে। এতে জড়িত থাকার দায়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে জেলা প্রশাসন।
মতামত দিন