'কোনো পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যদি দেশবিরোধী, জঙ্গিবাদ ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার করে, তাহলে এর দায় বর্তায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরই'
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মে দেশবিরোধী, জঙ্গিবাদ ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার হলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে “শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলদেশ” নামক গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “কোনো পত্রিকা কিংবা টেলিভিশন যদি দেশবিরোধী, জঙ্গিবাদ ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার করে, তাহলে এর দায় থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর। ঠিক তেমনি ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়ায় যদি উস্কানিমূলক তথ্য প্রচার করা হয়, তাহলে এর দায়ভার অবশ্যই ওইসব সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষের ওপরই বর্তায়। কারণ ওই প্লাটফর্ম ব্যবহার করেই এসব এসব অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (সোশ্যাল মিডিয়া) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য ইউরোপ, আমেরিকা ও সিংগাপুরসহ বিভিন্ন দেশ সোস্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরাও প্রয়োজনে আইনী ব্যবস্থা নিবো।
আমাদের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৩৮ ধারায় স্যোশাল মিডিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন, চরিত্র হনন, সমাজে অস্থিরতা বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি – এই ধরনের অপরাধমূলক কাজে স্যোশাল মিডিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করা হলে সংশ্লিষ্ট সেইসব সার্ভিস প্রোভাইডারদের জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনে আরো একটি নতুন আইন করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করছে।”
এছাড়া তথ্যমন্ত্রী এ সময় “শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ” শীর্ষক গ্রন্থের সম্পাদক শামীম আহমেদকে ধন্যবাদ জানান।
মতামত দিন