‘খনন প্রকল্পটি চলমান আছে। কাজের প্রায় ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে এবার অতি বৃষ্টির হলেও নীলফামারীর কোথাও বন্যা দেখা দেয়নি’
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নীলফামারী জেলার বেশিরভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা ও নিন্মাঞ্চল তলিয়ে যাওয়া নিযমিত ঘটনা। এতে প্রতিবছরই ফসলি জমি ডুবে যাওয়া, পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়া, নদী ভাঙনসহ বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হতো। কিন্ত নদী খননের ফলে চলতি বছর তিস্তা অববাহিকা ও ডিমলা ডালিয়া পয়েন্ট বাদে জেলায় তেমন বন্যার প্রকোপ দেখা দেয়নি। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মতে, নদী খননের সুফল ভোগ করছে নীলফামারীরর মানুষ।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে মার্চে সারাদেশের সঙ্গে নীলফামারীর ছোট বড় ১০টি নদী ও বেশ কয়েকটি খাল খননের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের প্রায় ৬০% কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি শেষ হলে জেলায় ১.১৫ কোটি ঘনমিটার মাটি অপসারণ সম্ভব হবে।
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, “খনন প্রকল্পটি চলমান আছে। কাজের প্রায় ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে এবার অতি বৃষ্টির হলেও নীলফামারীর কোথাও বন্যা দেখা দেয়নি। এটি নদী খননের সুফল মাত্র।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ডালিয়া পয়েন্ট যে বন্যা দেখা দেয় তা উজানের পাহাড়ি ঢলে জেলার ডিমলা উপজেলায় পানির উঠানামায় সাময়িকভাবে বন্যা দেখা দেয়। এতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার বানভাসিরা।”
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডে উপসহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) আমিনুর রশিদ বলেন, “প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য হলো নীলফামারী জেলার নদী প্রবাহ এলাকার জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন করে বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন থেকে রক্ষা, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা।”
জেলা পাউবো সূত্রে আরও জানা যায়, জলাভূমি ও ছোট নদী পুনরুদ্ধার এবং এগুলোর নাব্যতা, পানি সংরক্ষণের ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ভূগর্ভস্থ পানি পুনরায় জমা করাসহ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য নদী-নালা খননের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পানি সম্পাদ মন্ত্রণালয়। তারই অংশ হিসেবে এই প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।
মতামত দিন