‘বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে সনেকাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিক হত্যা’
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত রবিবার (৯ আগস্ট) রাতে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহত গৃহবধূর নাম সনেকা বেগম(১৯)। সনেকা উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামের সোহেল রানার স্ত্রী ও চর সরিষাবাড়ী গ্রামের ইমতিয়াজের মেয়ে।
এলাকাবাসী জানায়, চরআদ্রা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানার সাথে দেড় বছর আগে বিয়ে হয় সনেকার। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন সনেকাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। রবিবার রাতে স্বামী সোহেল রানা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে নদীতে মাছ ধরতে যায়। গভীর রাতে শ্বশুর আফাজ উদ্দিন দরজা খোলা দেখে ঘরে প্রবেশ করে পুত্রবধূকে ধর্নার (আড়া) সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
নিহতের স্বামী সোহেল রানা বলেন, আমি রাতে মাছ ধরতে বিলে যাই। পরে বাবার ফোন পেয়ে বাড়িতে এসে স্ত্রী সনেকাকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখি।
নিহত সনেকার চাচী সুইটি বেগম অভিযোগ করে বলেন, “বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে সনেকাকে শারীরিক নির্যাতন করতো। এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিক হত্যা।”
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো. ফজলুল করিম বলেন, “আদ্রা এলাকায় একজন গৃহবধু ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে এমন সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং লাশ উদ্ধার করি। এটি হত্যা না আত্নহত্যা তা ময়না তদন্তের পর জানা যাবে।”
মতামত দিন