‘এ সাপের কোনো অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। বলা যায়, এর এক ছোবলেই মৃত্যু নিশ্চিত’
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত থেকে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ আটক করেছে মেহেদী হাসান নামে এক যুবক। বুধবার (১২ আগস্ট) সকালে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত জোতওসমান গ্রামের মেহেদী ভারত সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর মাঠে রাসেল ভাইপার সাপ দেখতে পায়।
স্থানীয়রা জানান, জোতওসমান মাঠে ধান রোপণের কাজ করছিলেন মেহেদী। এ সময় পাশের একটি কূপ থেকে সাপটি উঠে আসে। পরে তিনি সেটিকে আটক করে বস্তায় বন্দি করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাপটিকে এক নজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভিড় জমায়।
এ ব্যাপারে ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, “রাজশাহী বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।”
আরও পড়ুন - মুন্সীগঞ্জে আবারও ধরা পড়েছে ভয়ংকর বিষধর ‘রাসেলস ভাইপার’
রাসেল ভাইপার সম্পর্কে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আইইউসিএনের ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। এটি ইঁদুর ও টিকিটিকি খায়। বসতবাড়ির আশেপাশে এদের প্রাচুর্যতা বেশি থাকায় খাবারের খোঁজে রাসেলস ভাইপার অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে এবং মানুষকে দেখে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে কখনও কখনও আক্রমণও করে।”
জোহরা মিলা বলেন, “তীব্রতার দিক দিয়ে সাপটি বিশ্বের ৫ নম্বর ভয়ংকর বিষধর সাপ। কিন্তু মাত্র ১ সেকেন্ডের ১৬ ভাগের ১ ভাগ সময়ে কাউকে কামড়ে বিষ ঢালতে পারে সাপটি! কামড়ের ক্ষিপ্রগতির দিক দিয়ে সব সাপকে হারিয়ে রাসেল ভাইপার প্রথম স্থান দখল করেছে। তাছাড়া এ সাপটির বিষ দাঁত বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। এই সাপের বিষ ‘হেমোটক্সিন’ হওয়ায় মাংস পঁচেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সাপটির কবল থেকে বাঁচতে সচেতনতাই কার্যকর পথ। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী সাপটি সংরক্ষিত।”
আরও পড়ুন - ভাইরাল হওয়া প্রাণীটি চিতাবাঘ নয়, চিতা বিড়ালের বাচ্চা
মতামত দিন