‘বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই ফতুল্লা থানা পুলিশকে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে’
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “মসজিদে বিস্ফোরণের মামলাটি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ। এই মামলাটি নিবিড় পর্যাবেক্ষণ ও তদন্ত প্রয়োজন। এ কারণেই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই ফতুল্লা থানা পুলিশকে মামলার যাবতীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।”
এদিকে মামলার তদন্তভার হাতে পেয়েই বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর ও মামলার নবনিযুক্ত তদন্ত কর্মকর্তা বাবুল হোসেনের নেতৃত্বে সিআইডি পুলিশের একটি টিম পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদ পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও আলামত সংগ্রহ করেন।
সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মামলার নবনিযুক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন বলেন, “বাইতুস সালাত জামে মসজিদ বিস্ফোরণের ঘটনাটি একটি চাঞ্চল্যকর। এই মামলাটি অধিক তদন্ত করার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিআইডিতে হস্তান্তর করেছেন। আজ দায়িত্ব পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথম দিন তদন্ত শুরু করেছি, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বাক্ষীদের সাথে কথা বলেছি। প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের আমরা চিহ্নিত করা হবে। তারা যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় সোপর্দ করা হবে।”
আগামী শনিবার সিআইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, “আমরা ঘটনার শুরু থেকেই ছায়া তদন্ত শুরু করেছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। এখন মামলার প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও আসামিদের শনাক্ত করাই আমাদের ব্রত।”
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় এসআই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে তিসাস গ্যাস, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের কর্তব্যে গাফলতি ও অবহেলার সাতটি কারণ চিহ্নিত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মতামত দিন