একইসঙ্গে যেন বিলীন হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ
ভোলায় প্রমত্তা মেঘনা নদীর করালগ্রাসে হারিয়ে যেতে বসেছে একটি স্কুল ভবন। ভবনটি সাইক্লোন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
ভোলার চর জহিরউদ্দিনে ২০১০-১১ অর্থ বছরে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় নিশ্চিন্তপুর শিকদার বাজার মডেল হাইস্কুলের আধুনিক ভবনটি। এর আগে ২০০৮ সালে ২১৬ জন শিক্ষার্থী ও ১২ জন শিক্ষককে নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিদ্যালয়টি।
স্থানীয় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ভেতরে রয়েছে এক কোটি টাকা সমমূল্যের শিক্ষা উপকরণ। কিন্তু উন্মত্ত মেঘনার ভাঙনে এখন সেটি বিলীনের পথে।
প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনে কাছে বিষয়টি হতাশাজনক।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ চাইলে অন্য কোথাও স্কুলটির কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারত। সেক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণও কমে আসতে পারত। কিন্তু তাদের গাফিলতির কারণে এখন সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে এই বিদ্যাপীঠটি।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ধীরে ধীরে নদী গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছিল ভবনটি। প্রধান শিক্ষক জাকির বলেন, একইসঙ্গে যেন বিলীন হচ্ছে শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল নোমান বলেন, “এর আগে ভবনটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিডব্লিউডিবি কর্তৃপক্ষ টেন্ডার দিয়েছিল। কিন্তু অতি বন্যার কারণে সেই কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এখন ভবনটির অর্ধেকাংশ ইতোমধ্যে নদীতে চলে গেছে।”
মতামত দিন