বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় জনতা ওই এএসআইকে অবরুদ্ধ করে রাখে
রংপুরে সোর্সের মাধ্যমে ৫ পিস ইয়াবা দিয়ে বিটিসি কর্মচারীকে ফাঁসানোর অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তাকে আটক করে বিক্ষোভ ॥ দায়ি পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেবার অভিযোগ ॥
সোর্সের মাধ্যমে ৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে বাংলাদেশ টোবাকো কোম্পানির (বিটিসি) এক কর্মচারিকে গ্রেফতারের চেষ্টাকালে জনরোষের মুখে পড়েছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)আবু সায়েম।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর ধাপ চেকপোস্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঢাকা ট্রিবিউনকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লা কাওছার।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার নগরীর ধাপ চেকপোস্টের কাছে একটি হোটেলে বিটিসির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের একটি সভা চলছিলো। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আরিফুল ইসলাম রকি নামে চাকরিচ্যুত এক কর্মচারি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিটিসির সুপারভাইজার রাজুর মুঠোফোনে কল করে বাইরে আসার জন্য বলে।
বাইরে আসা মাত্রই সুপারভাইজার রাজুর হাতে একটি সিগারেটের প্যাকেট ধরিয়ে দেয় রকি। তারপরই যেন চোখের পলকে সেখানে হাজির হয় এএসআই আবু সায়েম।
রাজুকে তৎক্ষণাৎ তল্লাশি করে ইয়াবা পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় এএসআই সায়েম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত এএসআই-এর সোর্স হিসেবে কাজ করত রকি।
বিষয়টি জানার পর সভায় উপস্থিত বিটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে এএসআই আবু সায়েমকে ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় সভাস্থল হোটেলটির ভেতরে।
খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লা কাওছার, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনা যান। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তারা।
এরপর এএসআই সায়েমকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল্লা কাওছার এ বিষয়ে ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। তদন্তে দায়ী প্রমাণিত হলে তার (এএসআই) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মতামত দিন