রামেকে গেলে বলা হয়, সিট পেতে হলে হাসপাতাল পরিচালকের লিখিত অনুমতি লাগবে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউ সেবা না পেয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক শিক্ষার্থীর মৃতুর অভিযোগ উঠেছে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহীর নওহাটা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মামুনের সঙ্গে হাসপাতালে থাকা তার বন্ধু ঈসমাইল জনি সাংবাদিকদের জানান, মামুন দীর্ঘদিন আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন। জন্ডিসের কারণে সম্প্রতি তার কিডনি ‘‘অচল’’ হয়ে যায়। আজ ভোররাতে মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউয়ের প্রয়োজন পড়ে। রামেক হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে আইসিইউতে একটি সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়।
জনি বলেন, কিন্তু রামেকে গেলে বলা হয়- সিট পেতে হলে হাসপাতাল পরিচালকের লিখিত অনুমতি লাগবে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতাল পরিচালককে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি কল ধরেননি।
বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানালে তারা বলেন, সকালে পরিচালক এলে তার সঙ্গে কথা বলে রোগীকে আইসিউতে নেওয়া হবে। কিন্তু এরই মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন মামুন।
মামুনের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম ঢকা ট্রিবিউনকে বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না, আপনি যার কাছ থেকে শুনেছেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা খুব টেনশনে আছি। বিষয়টি নিয়ে আপনারা চুপ থাকলে খুশি হবো।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, “মামুনের বাবা ও তার তিনজন সহপাঠী গতকাল আমার কাছে এসেছিলেন। রাত ৪টার দিকে এক ছাত্র এসএমএস করে আইসিইউয়ের জন্য সহযোগিতা চেয়ে অনুরোধ জানান। ঘুমিয়ে থাকায় তখন এসএমএস-এর সাড়া দিতে পারিনি। পরে যোগাযোগ করা হলেও আইসিইউ পাওয়ার আগেই মারা যায় সে।”
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
মতামত দিন