জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় এটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে পরিণত হলো
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশে সই করেন বলে তার প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদের অধিবেশন না থাকায় এটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনে পরিণত হলো। তবে আইনটি বলবৎ রাখতে চাইলে পরবর্তী সংসদে বিল আকারে উপস্থাপনের মাধ্যমে পাশ করাতে হবে।
এর আগে সোমবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন” সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারির জন্য এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত) খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
‘‘আইন বিভাগ থেকে আইনি যাচাই (ভেটিং) শেষেই এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।’’
প্রসঙ্গত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আলোচিত ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্ষণ-নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মতামত দিন