তাদের কাছে পাওয়া গেছে ‘বাবা’ ব্র্যান্ডের জুস, চকলেট, কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন পণ্য
দেশব্যাপী ডিলার নিয়োগের নামে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্র কথিত “আলীবাবা গ্রুপ”-এর ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে অনুমোদনহীন “বাবা” ব্র্যান্ডের লোগোযুক্ত পণ্য- বাবা ফ্রুট, বাবা আইস ললি, বাবা আপ, বাবা আমব্রেলা চকলেট, ডিলার নিয়োগের ফরম, ব্যাংক জমা রশিদ, পণ্য অর্ডার কাটা বই, পণ্য সাইজ ও মূল্য তালিকা, সয়াবিন তেলের লেবেল, ভিজিটিং কার্ড, বেতন বই এবং পণ্যের ক্যাটালগ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে ১২ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার বারিধারা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্তরা হলো- মো. মেহেদী হাসান (২৮), তপন কুমার সরকার (৪৯) এবং মো. সাইফুল আলম(৪৫)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র বিশ্বখ্যাত আলিবাবা ব্র্যান্ডকে নকল করে “আলীবাবা গ্রুপ” নামে ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে পণ্য বাজারজাত করার জন্য উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ডিলার নিয়োগের প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, তাদের প্রতারণামূলক চটকদার বিজ্ঞাপনের প্রচারণা দেখে সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আকর্ষিত হয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় সুসজ্জিত অফিস ভাড়া নিয়ে কথিত “আলীবাবা গ্রুপ” নামক প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ব্যবসায়ীদের ডেকে নিয়ে এসে বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করা ‘আলীবাবা ব্র্যান্ড’ এর বিভিন্ন ভূয়া পণ্য প্রদর্শন করে ফাঁদে ফেলে তাদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। পরবর্তীতে ঘনঘন অফিস পরিবর্তন করে তারা প্রতারণামূলকভাবে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে।
কয়েকজন ভুক্তভোগীর এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র্যাব-১১ এর বিশেষ দল বারিধারা এলাকায় এই চক্রের অফিস শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কথিত ‘আালীবাবা গ্রুপ’ এর চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর ওরফে আকাশ চৌধুরী ওরফে আবীর চৌধুরী, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মীম ও কোম্পানীর এমডি মোঃ শাহাবুদ্দিন আহম্মেদের যোগসাজশে র্দীঘদিন ধরে ডিলার নিয়োগের নামে পরিকল্পিতভাবে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
মতামত দিন