বিয়ের ৯ দিনের মাথায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়
গাজীপুরে বিয়ের ৯ দিনের মাথায় বাড়ির কক্ষ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মাসুম মিয়া (২১) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কিশোরী স্ত্রীকে (১৬) একই ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরিবার থেকে প্রেমের বিয়ে মেনে না নেওয়ার জেরে মনোমালিন্যের পর এই দম্পতি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাসুমের মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তার বাড়ি কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের নয়া সাঙ্গুন গ্রামে।
স্বজনদের বরাত দিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, গত ৪ অক্টোবর ভালোবেসে বিয়ে করেছিল ওই যুগল। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিয়ের পর নববধূকে নিয়ে মাসুম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতো। কিন্তু স্ত্রীর পরিবার তাদের বিয়ে মেনে না নেওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন মাসুম। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে নবদম্পতির মাঝে ঝগড়া ও মনোমালিন্য হয়। হঠাৎ করে তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা উঁকি দিয়ে ঘরের সিলিংয়ে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মাসুমকে ঝুলতে দেখে। এ সময় তার স্ত্রী অচেতন অবস্থায় বিছানায় পড়েছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুমকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত তার স্ত্রীর জ্ঞান ফেরেনি।
প্রতিবেশিরা জানান, ঘটনার সময় ক্ষুব্ধ হয়ে মাসুমের স্ত্রী একাধিক ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ফেলে। স্ত্রীকে ঘুমের ট্যাবলেট খেতে দেখে অভিমান করে ঘরের সিলিংয়ে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস নেয় সে।
মতামত দিন