হরিণের মাংসসহ হাতেনাতে আটক হওয়ার পরেও পাচারকারী সামাদ মোসাল্লীকে নিজের সিদ্ধান্তেই গোপনে ছেড়ে দেন বন কর্মকর্তা আবুল হোসেন
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে প্রায় ১০ কেজি হরিণের মাংসসহ দুইটি নৌকা জব্দ করে জোংড়া ফরেস্ট ক্যাম্পের একটি টহল দল। এ সময় হরিণ শিকার ও মাংস পাচারের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মোংলার চিলা ইউনিয়নের সুন্দরতলা এলাকার বাসিন্দা সামাদ মোসাল্লী আটক করার খবর পাওয়া যায়।
তবে সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টায় জোংড়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন দাবি করেন, “আটক সামাদ মোসাল্লী তাদের সোর্স, কোনো আসামি নয়।”
অভিযোগ উঠেছে, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আওতাধীন জোংড়া ফরেস্ট ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হোসেন হরিণের মাংস, নৌকা জব্দের বিষয়টি রেঞ্জ কর্মকর্তা বা ঊর্ধতন কাউকেই জানাননি। আটক পাচারকারী সামাদ মোসাল্লীকে নিজের সিদ্ধান্তেই গোপনে ছেড়ে দেন তিনি।
বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে রেঞ্জ কর্মকর্তাকে গিয়ে তদন্ত করা ও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন।
আবুল হোসেন বলেন, পাচারের সময় ওই হরিণের মাংস সামাদ মোসাল্লী তাদেরকে ধরিয়ে দেন।
তবে নিষিদ্ধ সময়ে চিলা ইউনিয়নের বাসিন্দা সামাদ মোসালালী সুন্দরবনের জোংড়া খালে কি করেই পৌঁছালো এবং সেখানে কি করতে গিয়েছিলো- এমন প্রশ্নের কোনো জবাব বন কর্মকর্তা আবুল হোসেন দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মতামত দিন