আহতরা বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন
মা ইলিশ রক্ষায় নিষিদ্ধ সময়ে শিকার বন্ধের অভিযানে জেলেদের হামলায় নৌপুলিশের ১২ সদস্য আহত হয়েছে। রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- পুলিশ পরিদর্শক মুজাহিদুল ইসলাম (৪১), উপপরিদর্শক (এসআই) ইলিয়াস, নায়েক শাহজালাল (৪০), ইকবাল (৩৪), কনস্টেবল ফেরদৌস শেখ (২৬), কাউসার (৩০), আল মামুন (৩৪), আমিন (৩৪), হেলাল উদ্দিন (৫৪), নিলয় দেব (২৮), মুনায়েম (২৬) ও প্রসেনজিৎ।
আহতরা বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নৌপুলিশ সূত্রে জানায় যায়, শনিবার রাতে মা ইলিশ রক্ষায় নৌপুলিশ এবং হেলিকপ্টারযোগে মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান শুরু করা হয়। মুন্সিগঞ্জ থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চাঁদপুরের মতলব উত্তর, শরীয়তপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে। অভিযানে তারা বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল জব্দ করেন ও ২ শতাধিক নৌকার তলদেশ ছিদ্র করে দেন। অভিযানের এক পর্যায়ে চাঁদপুরের রাজরাজেশ্বর এলাকায় এলে তারা পাঁচ জেলেকে আটক করেন।
নৌপুলিশের এএসপি ফরিদা পারভিন জানান, অভিযানের এক পর্যায়ে রবিবার সকালে তারা দেখেতে পান- লক্ষ্মীচর এলাকায় বিপুল সংখ্যক জেলে মাছ শিকারে নদীতে নেমেছে। এ অবস্থায় সেখানে অভিযান চালাতে গেলে নৌপুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে ফেলে জেলেরা। তারা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে লাঠিসোটা নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে পুলিশ সদস্যরা আহত হন। এ অবস্থায় তারা আত্মরক্ষার্থে ৪৭টি শটগানের গুলি ও টিয়ারসেল ছোড়েন।
নৌ-পুলিশের পরিদর্শক মো. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা মা ইলিশ রক্ষায় প্রায় ৮০ জনের নৌ পুলিশ সদস্য নিয়ে অভিযান শুরু করি। অভিযানে কয়েকজন জেলেকে গ্রেফতারও করি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাঁদপুর-শরীয়তপুরে অভিযান পরিচালনা করি। চাঁদপুরের লক্ষ্মীচর এলাকায় যখন দেখলাম বিপুল সংখ্যক লোক নৌকাযোগে অবৈধভাবে ইলিশ ধরছে, তখন আমরা নৌকা এবং জাল জব্দ করতে গেলে তারা চার দিক থেকে আমাদের ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।”
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় গেল বছরগুলোর মতো চলতি বছরেও ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।
মতামত দিন