অটোরিকশা থেকে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিলে তার বাবাকেও পিটিয়ে আহত করে অভিযুক্তরা
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের বড়চারীগাঁও এলাকায় চলন্ত অটোরিকশা থেকে এক গৃহবধূকে অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর পিতা বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী ফেনী জেলা থেকে বাবার সাথে নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে একটি অটোরিকশায় নোয়াখালীতে আসছিলেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ। সন্ধ্যায় তাদের রিকশাটি নবীপুর ইউনিয়নের বড়চারীগাঁও এলাকায় পৌঁছলে ওই গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে মো. বাবুল (২২) ও তার এক বন্ধু অটোরিকশাটি থামাতে চেষ্টা করে। কিন্তু চালক না থেমে অটোরিকশা চালিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে অটোরিকশা থেকে ফেলে দেয়া হয়। পরে ওই নারীকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর চেষ্টা চালায় বাবুল ও তার বন্ধু। এ সময় ওই নারীর বাবা বাধা দিলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে ওই নারী জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাদের সাথে যোগ দেয় আরও এক যুবক। পরে তারা ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু ওই নারীর বাধায় তারা ব্যর্থ হয়।
এক পর্যায়ে ওই নারীর চিৎকার শুনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিন উল্যাহ ও এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ওই বাগানে যান ভুক্তভোগী নারীর বাবা। এ সময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আগে থেকেই পালিয়ে যায় তিন যুবক।
গৃহবধূর পিতা বলেন, আহত অবস্থায় তিনি দৌঁড়ে স্থানীয় চৌরাস্তা এলাকায় গিয়ে নবীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিন উল্যাহকে বিষয়টি অবহিত করেন। বিষয়টি শুনে চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, বখাটেরা পালিয়ে যায়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, “এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা শুক্রবার রাত ১২টায় প্রধান মো. বাবুলসহ তিনজনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।”
মতামত দিন