এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে
সিলেটের মেট্রোপলিটন এলাকার দক্ষিণ সুরমার আলমপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এবং পরে লাইভে এসে আলহাজুর রহমান (২০) নামে এক তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার রাত ৯টার দিকে বিছানার চাদরের মাধ্যমে গলায় ফাঁস দিয়ে ওই তরুণ আত্মহত্যা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অধীনস্ত মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাহাবুল ইসলাম।
মৃত আলহাজুর সিলেট সরকারি কারিগরি ইনস্টিটিউট থেকে সম্প্রতি এসএসসি পাস করেন। তার বাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের দরগাবাহারপুর গ্রামে। আলমপুর এলাকার ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতো তার পরিবার।
মৃতের চাচা আফজাল হোসেন জানান, বুধবার রাতে মা-বোনকে চা বানানোর কথা বলে নিজের ঘরে ঢোকে আলহাজুর। পরে ভেতর থেকে দরজা আটকে উচ্চ শব্দে গান শুনছিল সে। গান চালানো অবস্থাতেই বিছানার চাদরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। জোরে গান বাজতে থাকার কারণে বাসার কেউই বিষয়টি বুঝতে পারেনি। পরে পরিবারের সদস্যরা ডেকে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন এবং আলহাজুরকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয় আলহাজুর। ওই স্ট্যাটাসে সে লেখে, “কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। তারা অনেক স্বার্থপর হয় প্রিয় মানুষটার বিষয়ে। সবকিছু দিয়ে তাদের পেতে চায়। আর আমি কোনোভাবে পাইনি। চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে। ভালোবেসো না, ঠকে যাবে।”
ওই স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রায় একঘন্টা পরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করে সে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আত্মহননের লাইভ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছে এবং বর্তমানে তার আইডি বন্ধ রয়েছে।
মোগলাবাজার থানার ওসি ছাহাবুল ইসলামের বলেন, “ওই তরুণ আত্মহত্যার সময় ফেসবুক লাইভে ছিলেন বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে আমরা তেমন কোনো ভিডিও পাইনি। তার লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।”
মতামত দিন