‘বন বিভাগের পাশাপাশি র্যাবের সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। যাতে এসব বন্যপ্রাণী নিয়ে অনলাইনে কেউ অবৈধ ব্যবসা না করতে পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে’
ঢাকার আশুলিয়ার ইটখোলা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় তিন প্রজাতির ৭১০টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় চারজনের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রহমান শেখ (৭৮), মো. চান মিয়া (২৫), মো. ওসমান গনি (৩২) ও রফিকুল ইসলাম (৭০)। র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এ সাজা প্রদান করেন।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকালে পাখিগুলো উদ্ধারের পর দুপুরে সেগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে নিয়ে অবমুক্ত করা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব-১) যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে টিয়া, ময়না, ঘুঘুসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৭১০টি পাখি উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন-২০১২ অনুযায়ী দেশীয় বিপন্ন প্রজাতির পাখি ক্রয়, বিক্রয়, সংরক্ষণ ও শিকার করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। একটি সংঘবদ্ধ চক্র বগুড়া ও উপকূলীয় এলাকা থেকে এসব পাখি নিয়ে এসে ব্যবসা করছে। সংঘবদ্ধ চক্রটিকে ধরতে বন বিভাগ ও র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
পাখিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী ধরা, ক্রয়-বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়। মেহেদী হাসান অপু/ঢাকা ট্রিবিউন
তিনি বলেন, “আজ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এই পাখিগুলো আমাদের প্রকৃতির একটি বড় সম্পদ। পাখিগুলোর মাধ্যমে আমাদের প্রকৃতির ফুল ফলের পরাগায়ন এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। সুতরাং যারা এই ধরনের অপরাধ করবে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
সারোয়ার আলম বলেন, “এরআগেও আমরা বড় অপারেশন করেছি এবং বেশকিছু লোককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এরপরও চক্রটি অবৈধভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার আলম বলেন, “বন বিভাগের পাশাপাশি র্যাবের সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। যাতে এসব বন্যপ্রাণী নিয়ে অনলাইনে কেউ অবৈধ ব্যবসা না করতে পারে, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও র্যাবের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মতামত দিন