অভিযুক্ত খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন
ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে জামালপুরের মেলান্দহের শ্যামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হক মঞ্জুকে সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থকরা পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামিন।
তিনি জানান, সভাপতির সমর্থকরা ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত ওই প্রধান শিক্ষক।
জানা যায়, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী খলিলুর রহমান নিজে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। তিনি শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। এর আগেও তিনি দুইবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবারও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হবার জন্য লবিং করছিলেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হক বলেন, “বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী তিনি (খলিলুর রহমান) সভাপতি হতে পারেন না। আমি এটা জানানোয় তিনি আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শনিবার তার নির্দেশে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ও সাঙ্গপাঙ্গরা অফিসে ঢুকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে আমাকে বেধড়ক পেটায়। এক পর্যায়ে তারা আমাকে অফিস থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়।”
তবে, অভিযুক্ত খলিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। পরে শুনেছি। একহাতে তালি বাজে না। যতটুকু জানি কমিটি গঠন নিয়ে দাতা সদস্যের পরিবারের সাথে বিরোধ ছিল প্রধান শিক্ষকের। এ থেকেই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। আমি পিটিয়েছি এমন কোনো প্রমাণ দিতে পারলে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নেবো।”
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহ মিয়া বলেন, “আমি ঘটনাটি অবগত হয়েছি। খোঁজখবর রাখছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
স্কুলের এডহক কমিটির সভাপতি আসাদুল্লাহ ফারাজী বলেন, প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করীম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। হামলাকারীদের ঝুলানো তালা পরিবর্তন করে অন্য তালা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে এখনো এখনও এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।”
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামিম আল ইয়ামিন বলেন, “ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মতামত দিন