পাশাপাশি, এবছর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মা ইলিশ রক্ষায় আকাশপথে হেলিকপ্টার দিয়ে ব্যতিক্রমী অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী
চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করতে দেশের আট বিভাগে ২ হাজার ৬৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে সরকার।
এই অভিযান সফল করতে সরকার ১৯ হাজার ৮১৮টি অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার (৭ নভেম্বর) একথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের দিক-নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের তত্ত্বাবধানে এই সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইলিশ সংরক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৩৬ জেলার জেলা প্রশাসক, ১৫২ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলার নির্বাহী মেজিস্ট্রেটগণ, নৌপুলিশ, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি’সহ স্বেচ্ছাসেবী নানা সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন।
এবছর মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মা ইলিশ রক্ষায় আকাশপথে হেলিকপ্টার দিয়ে ব্যতিক্রমী অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। এছাড়াও নৌপুলিশ, পুলিশ, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে একাধিক যৌথ সাঁড়াশি অভিযানও পরিচালনা করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরে স্থাপিত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এসকল অভিযানে ২৪৩ কোটি ৩৬ লাখ ৪ হাজার টাকা মূল্যের ১২ কোটি ৯১ লাখ ৪৪ হাজার ৬শ’ মিটার দৈর্ঘের কারেন্ট জালসহ ২ হাজার ৬শ’ ৮৫টি অন্যান্য অবৈধ জাল আটক করা হয়েছে।
এসময়ে অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য মৎস্য আইনের আওতায় ৫ হাজার ৫শ’ ৩৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হযেছে এবং ৯০ লাখ ৮৩ হাজার ৬শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মামলা করা হয়েছে ৬ হাজার ৯শ’ ৪টি। অবৈধভাবে ধরা ৪৫.৪১ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আটক করা হয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন দেশব্যাপী ইলিশ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত, কেনা-বেঁচা, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছিল সরকার। এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত, কেনা-বেঁচা, মজুত ও বিনিময় ছিল আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
মতামত দিন