অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গরুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ায় সেটিকে জবাই করা হয় বলে জানান আবু তাহের
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকায় জীবিত গরুর পেট কেটে রক্ত ও নাড়িভুঁড়ি বের করে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ওই যুবক মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে পৌর এলাকার তারাগনে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে গরুর মালিক তারাগন পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা মো. আবু তাহের মিয়া দাবি করেন, কিছুদিন আগে প্রায় ৫০ হাজার টাকায় তিনি গরুটি কেনেন। প্রতিদিনের মতো সোমবারও গরুটিকে বাড়ি সংলগ্ন খোলা মাঠে বেঁধে রেখেছিলেন তিনি। দুপুরে গরুটিকে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। সে সময় গরুর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে ছিল।
অভিযোগ করে তিনি বলেন, “গরুর অঙ্গ-প্রতঙ্গ খাওয়ার সময় ওই যুবক আমাকে দেখতে পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ধাওয়া করে তাকে আটক করা হয়। সে এই কাজ করেছে বলে স্বীকারও করেছে।”
এদিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গরুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ায় গরুটিকে জবাই করা হয় বলে জানান আবু তাহের।
আখাউড়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মানিক মিয়া বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে ওই ছেলেটি মানসিক সমস্যা রয়েছে। ওই ছেলের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আখাউড়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো. কামাল বাশার বলেন," ঘটনাটি শুনে দ্রুত খোঁজ খবর নিতে লোক পাঠিয়েছিলাম। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মানসিক সমস্যার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই যুবকের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজন।”
এদিকে ওই যুবকের বাবা সাংবাদিকদের জানান, তার ছেলের কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে। তবে সে এমনটা কেন করলো তিনি নিজেও বুঝতে পারছেন না। তিনি ক্ষতিগ্রন্থ গরুর মালিককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
মতামত দিন