পুলিশ এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনকে আটক করেছে
রাজধানীর একটি বেসরকারি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সেখানকার কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর আদাবরে অবস্থিত মাইন্ড এইড হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে বলে বাংলা ট্রিবিউনের একটি খবরে বলা হয়। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় আনিসুলকে রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ অচেতন অবস্থায় তাকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত আনিসুল করিম বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। তার বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।
পুলিশ এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনকে আটক করেছে। এছাড়া পুলিশ হাসপাতালটির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে হাসপাতালের সাত কর্মচারীর এএসপি আনিসুল করিমকে অমানবিক নির্যাতনের প্রমাণ মিলেছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সাত ব্যক্তি আনিসুল করিমকে জোরপূর্বক হাসপাতালের একটি ঘরে ঢোকাচ্ছেন। পরে তাকে ঘরের মেঝেতে ফেলে দুইজন ওঠে এএসপি’র পায়ের ওপর, তিনজন পিঠের ওপর এবং অপর দুইজন হাত বেঁধে ফেলে। পরে তাদের মধ্যে দুইজন আনিসুলের পিঠ ও শরীরের অন্যান্য অংশে অমানবিকভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে অচেতন হয়ে পড়েন আনিসুল। পরে চোখে-মুখে পানি ছেটানো হলেও জ্ঞান ফেরেনি পুলিশের এই কর্মকর্তার। পরবর্তীতে অ্যাপ্রন পরা দুই নারীকে আনিসুলের বুকে পাঞ্চ করে তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় ভিডিও ফুটেজে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
মতামত দিন