অভাবের কারণে দালালের খপ্পরে পড়ে ২ থেকে ৮ বছর আগে অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিলেন তারা
ভারতে পাচার হওয়া ৩০ জন বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পু্লিশ। এদের বেশিরভাগই শিশু।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর ) বিকেল সাড়ে চারটার সময় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত আসাদের মধ্যে ২০ জন নারী ও ১০ পুরুষ রয়েছে। তাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। তারা হলেন- মো. শহীদ (১৪), মিলন আলী (১৪), সাব্বির তালুকদার (১২), ইব্রাহিম শেখ (১৪), বিপ্লব রায় (১৪), মাহফুজা খাতুন (১৫), চুমকি খাতুন (১৪), লাবনী আক্তার (১৬), শায়লা শিকদার (১৬), নীলা খাতুন (১২), উম্মে কুলসুম (১৩), জুমিনী আক্তার (১৫), সায়রা আক্তার (১৯),কাকলী খাতুন (১৬), আরুফা খাতুন (৩৫), জেসমিন আক্তার (১৫),দিলারা আক্তার (২২), জান্নাত আরা আক্তার (০৭), রিয়া আক্তার (১৪), সাদিয়া আক্তার (১৭), মিনারা আক্তার (১৭), রুখসানা আক্তার (০৫), মো. সামি (০৩), মুক্তা আক্তার (১৭), তামান্না আক্তার (১১), হুমায়রা আক্তার (১২), আহম্মেদ (১৪), নূর ইসলাম (১৪), আকাশ অধিকারী (১২) ও প্রকাশ ঘোষ (১৬)
জানা গেছে, অভাবের কারণে দালালের খপ্পরে পড়ে ২ থেকে ৮ বছর আগে অবৈধ পথে ভারতে গিয়েছিলেন তারা। এরা ভারতের মুম্বাই ও কোলকাতাসহ বিভিন্ন শহরে বাসা-বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক আটক হয়। পরে সেখান থেকে “সংলাপ”, “লিলুয়া”, “সুশীলন”সহ ১১টি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দু'দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে তাদের দেশে ফিরিয়ের আনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসহকারী সচিব মো. আব্দুল ওয়াদুদ ফেরত আসাদের গ্রহণ করে বলেন, “ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে যারা এসেছেন তাদেরকে বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা, মহিলা আইনজীবি সমিতি ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে ৩টি এনজিওর মাধ্যমে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
যশোর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, “আজ যারা ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরল তারা সংসারে অভাবের তাড়নায় ২ থেকে ৮ বছর আগে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন জেলা শহরে যায় কাজের বা চাকরির সন্ধানে সেখানে গিয়েছিল। সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে ভারতের ১১টি এনজিও সংস্থার কাছে হস্তান্তর করে। দু-দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে তারা আজ দেশে ফিরছেন।”
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বলেন, “তাদের বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওইখান থেকে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর যাদের অভিভাবক আজ আসেনি তাদেরকে যশোর মানবাধিকারের লোকজন হেফাজতে নিয়ে তাদের শেল্টার হোমে রাখবেন। পরে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।”
মতামত দিন