উভয়পক্ষের লোকজন টেঁটা-বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. আক্কাস আলী (৪২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের মহিষবেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্কাস আলী ওই গ্রামের মারাজ মিয়ার ছেলে। এ সময় আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত আরও ১৫ জন।
পুলিশ ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানায়, রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়াসহ পাওনা টাকার বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে মহিষবেড় গ্রামের টোকাই গোষ্ঠীর সাথে একই গ্রামের ক্কারী গোষ্ঠীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরধরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ নিয়েই দুইপক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন টেটা-বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
আরও পড়ুন - নিউইয়র্ক: পাশ্চাত্যের ব্রাহ্মণবাড়িয়া!
সংঘর্ষের সময় ক্কারী গোষ্ঠীর আক্কাস আলীসহ টেটার আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত আক্কাস আলীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের কিশোরী কন্যা সাদিয়া কান্নারত অবস্থায় বলেন, আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দুই বোন ও দুই ভাই ছাড়া আমাদের আর কেউ নেই। তিনি এই ঘটনায় হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা মো. এনামুল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার পর মো. আক্কাস আলী নামে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনের অবস্থা
আরও পড়ুন - ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাটা পা নিয়ে আনন্দ মিছিল, আটক ৪২
গুরুতর। এরা হলেন- নূর আলম মিয়া (৪৫), মনোয়ার (৫০), শাহজাহান মিয়া (৬০), ইমাম হোসেন (৩৮), ফাতেমা (২২), মাহাবুব (৪২),আব্দুল সামদ (২৮) ও শাহ্ আলমগীর (২৯)। তাদের মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল-নাসিরনগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষের আশংকায় বর্তমানে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।”
আরও পড়ুন - এবার খাবারের টোকেন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ভিক্ষুকের সংঘর্ষ
মতামত দিন