‘বাবুল হোসেন পাংশা উপজেলাতে কর্মরত থাকা অবস্থায় সাথী নামে একটি মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়’
রাজবাড়ীতে বাবুল হোসেন (২৭) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের বাসভবনে নিয়োজিত পুলিশ ব্যারাকের পেছনে গাড়ির গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।
বাবুল হোসেন জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পুলিশ ব্যারাকে কর্মরত ছিলেন।
বাবুল হোসেন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে। তার একজন শিশু সন্তান আছে।
জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ব্যারাকের পেছনে গাড়ির গ্যারেজের মোবাইলে কথা বলতে বলতে চিৎকার দেন। এ সময় ব্যারাকে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সেখানে দৌঁড়ে গিয়ে দেখেন তিনি বিষপান করেছেন। এ সময় তাকে দ্রুত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ২টার দিকে বাবুল মারা যান।
বাবুল হোসেনের স্ত্রী তানজিলা সুলতানা বলেন, “চারবছর আগে বাবুল হোসেনের সাথে আমার বিয়ে হয়। আমাদের ২ বছর ৭ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বাবুল হোসেন পাংশা উপজেলাতে কর্মরত থাকা অবস্থায় সাথী নামে একটি মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। ওই মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের পর থেকে সে আমার সাথে কথা বলতো না। আমি তার কাছে ফোন করলে গালাগালি করতো। ৭-৮মাস আগে সে বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন তাকে বোঝালে সে ওই মেয়েকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এরপর ১০ দিন বাড়িতে থেকে চলে আসে। বাড়ি থেকে চলে আসার পর আমার মোবাইল নাম্বার ব্ল্যাকলিস্টে ফেলে রাখে। আমার ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দেয়। দেড় মাস আগে সে ওই মেয়েকে বিয়ে করে। পরে আমি ও আমার ভাই পাংশায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে বিয়ে করেছে। বাবুল ওই বাড়িতে রাতে যেত এবং ভোরে চলে আসতো। আজ ভোরে আমি খবর পাই বাবুল বিষপান করেছে।”
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, “নিহত পুলিশ সদস্য বাবুল হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
মতামত দিন