ভ্যানিটি ব্যাগ ও কাপড় দেখে কঙ্কালটি শনাক্ত করেন নিখোঁজ ওই কলেজছাত্রীর বাবা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে মিম খানম নামে এক কলেজছাত্রীর কঙ্কালের খুলি ও হাড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামে।
রবিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উদ্ধার হওয়া ভ্যানিটি ব্যাগ ও কাপড় দেখে কঙ্কালটি নিহত মিমের বলে নিশ্চিত করেন তার বাবা মধু খান। এরআগে শনিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় ওই কঙ্কালের খুলি ও হাড় উদ্ধার করে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার বিকেলে দামুড়হুদার উজিরপুর গ্রামের কওমী মাদ্রাসার পিছনে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মানুষের মাথার খুলি ও হাড় দেখতে পান একই গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি। মুহূর্তেই খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারকৃত কঙ্কালটির পাশে পড়ে থাকা পরিধেয় কাপড় ও জেএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের মধু খানের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী মিম খানমের কঙ্কাল বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করে পুলিশ।
নিহত মিমের বাবা মধু খান জানান, মাস তিনেক আগে প্রেমের সম্পর্কের কারণে একই এলাকার একটি ছেলের সাথে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় মিম। এই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিল মিম। সে আমলা সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, উজিরপুর গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কঙ্কালের হাড় ও মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছে।উদ্ধারকৃত কঙ্কালের অংশ বিশেষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আলামতের সূত্র ধরে হত্যাকারীদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
মতামত দিন