‘ওই জমিতে পর্যটন হোটেল নির্মিত হলে পরোক্ষভাবে ৪টি এবং প্রত্যক্ষভাবে ৭০-১১৬টি ম্রো গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হবার কথা পুরোপুরি সঠিক নয়’
বান্দরবানের চিম্বুক এলাকার নাইতং পাহাড়ে কোনো ম্রো জনগোষ্ঠীর বসতি নেই বলে জানিয়েছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়াম্যান ক্যশৈহ্লা।
রবিবার (২২ নভেম্বর) সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ মিলানায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “চিম্বুক ভ্যালির নাইতং পাহাড় এলাকায় কোনো ম্রো জনবসতি আগেও ছিল না, এখনও নেই। ওই জমিতে পর্যটন হোটেল নির্মিত হলে পরোক্ষভাবে ৪টি এবং প্রত্যক্ষভাবে ৭০-১১৬টি ম্রো গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হবার কথা পুরোপুরি সঠিক নয়।”
এ সময় চেয়ারম্যান আরও বলেন, “পাহাড় কর্তন না করা, পরিবেশের ক্ষতি না হয় এমন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ না করা, জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় অধিবাসীদের অগ্রাধিকার দেওয়াসহ মোট ১৮টি শর্ত জুড়ে দিয়ে ৪০ বছরের জন্য সেনাবাহিনীকে জমিটি লিজ দেওয়া হয়।”
আরও পড়ুন - বান্দরবানে নির্মাণ হচ্ছে পাঁচ তারকা হোটেল
সম্পাদিত চুক্তি পালনের মাধ্যমে ২০ একর জমিতে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনযাপন ক্ষুন্ন না করে পর্যটন সেবা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলে জানান ক্যশৈহ্লা।
তিনি জানান, স্থানীয় অধিবাসীদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ জেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ।
উল্লেখ্য, সিকদার গ্রুপ সেনা কল্যাণ ট্রাস্টকে নিয়ে কাপ্রুপাড়া থেকে নাইতং পাহাড় হয়ে জীবননগর পর্যন্ত একটি পাঁচ তারা হোটেলসহ বিলাসবহুল পর্যটনের স্থাপনা নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ অক্টোবর চিম্বুক পাহাড়ের ওপর স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবি জানায় কাপ্রুপাড়া, দোলাপাড়া ও এরাপাড়াবাসীরা। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
মতামত দিন