সূচকে অবস্থান পাওয়া প্রতিটি দেশকে শূণ্য থেকে ১০ স্কোরের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের সূচক-২০২০’এ মোট ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৩৩তম স্থানে অবস্থান করেছে বাংলাদেশ। গত বছরে এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৩০ তম। তারও আগের বছর সূচকে বাংলাদেশ ছিলো ২৫তম অবস্থানে।
২০২০ সালসহ গত কয়েক বছরের সন্ত্রাসবাদ সূচক অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদ দমনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকার, দেশের নাগরিক ও সমাজের প্রচেষ্টার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে হবে।
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের সূচক প্রস্তুত করে থাকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্সটিটিউট ফর ইকোনোমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি)। ২৩ সূচকের ওপর ভিত্তি করে ১৬৩ দেশকে নিয়ে চূড়ান্ত সন্ত্রাসবাদের সূচক তৈরি করা হয়েছে। এই দেশগুলোতেই বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৯৯ দশমিক ৭ শতাংস বসবাস করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সূচকে অবস্থান পাওয়া প্রতিটি দেশকে শূণ্য থেকে ১০ স্কোরের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়। স্কোর ৮ থেকে ১০ এর মধ্যে হলে সেই দেশগুলো সন্ত্রাসবাদে সবচেয়ে আক্রান্ত বলে ধরা হয়। স্কোর ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে পেলে দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। সূচকে ৪ থেকে ৬ স্কোর পাওয়া দেশগুলোতে মধ্যম আকারে সন্ত্রাসবাদ রয়েছে। স্কোর ২ থেকে ৪ এর মধ্যে থাকলে দেশগুলোতে খুব কম পরিমাণ সন্ত্রাসবাদ রয়েছে বলে ধরা হয়। আর স্কোর শূণ্য থেকে ২ এর অর্থ ওই দেশে কোনো সন্ত্রাসবাদ নেই।
প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্কোর ৪ দশমিক ৯০৯। এর অর্থ বাংলাদেশে মধ্যম আকারের সন্ত্রাসবাদ রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। ১৩৮তম অবস্থান দখল করে নেওয়া ভুটান রয়েছে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে।
গত বছরের মতো এবারও সারা বিশ্বে সূচকে সর্বপ্রথমে রয়েছে আফগানিস্থান। পাশাপাশি দুই ধাপ উন্নতি করে পাকিস্তান রয়েছে সপ্তমে এবং ভারত ও নেপাল যৌথভাবে ২৭ নম্বরে রয়েছে।
মতামত দিন