মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তারপরে জেলে যেতে হবে, আর কী করবে যদি না শোনে। আমরা তো ঝুঁকি নিতে পারি না, যতটুকু সম্ভব করতে হবে’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের শক্ত অবস্থানে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে সোমবার (৩০ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ঘরের বাইরে মাস্ক ছাড়া বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজায় কারাগারেও যেতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে।
তিনি বলেন, “আগেই আমরা বলেছি, এসপ্তাহ থেকে আরেকটু স্ট্রং অ্যাকশনে যাব। আমার মনে হয় ঢাকার বাইরে কিছুটা পজিটিভ, ডিসিরা বলছেন জেলা সদরে মানুষ মোটামুটি কেয়ারফুল হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ঢাকা শহরে বোধহয় এখনও পুরোপুরি কেয়ারফুল হয়নি, তবে মোটামুটি একটা বার্তা যাচ্ছে যে ফাইন হয়ে যাবে, ফাইন দিতে হবে ৫০০ টাকা। বলে দিয়েছি, এখন থেকে ম্যাক্সিমাম ফাইন কর, নাহলে আমরা আরও ইনস্ট্রাকশন দেবো।”
তারপরও মাস্ক না পরলে কী হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “তারপরে জেলে যেতে হবে, আর কী করবে যদি না শোনে। আমরা তো ঝুঁকি নিতে পারি না, আমাদের যতটুকু সম্ভব করতে হবে।”
মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সারাদেশে যেভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলছে, সেভাবে আরও ৭-১০ দিন চালিয়ে এরপর থেকে তাদের আরও কঠোর শাস্তি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সর্বত্র সকলের মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক করে দেয় সরকার। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বহু মানুষ মারা গেলেও নানা অযুহাতে এখনও অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছে না।
তাই সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সচেতনামূলক পদক্ষেপের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মতামত দিন