সাড়ে ১৩ বছর বয়সী সাঁতারু রাব্বি রহমান সবচেয়ে কম বয়সে, কম সময়ে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন
বঙ্গোপসাগরের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া ৪৩ জন সাতারুর মধ্যে ৪০ জন সফলভাবে সেন্টমার্টিনে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে মো. রাব্বি রহমান বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে সেন্টমার্টিনে পৌঁছে প্রথম হয়েছে। এছাড়াও সাইফুল ইসলাম রাসেল বিকাল ৩টা ৩১ মিনিটে এবং সোজা মোল্লা ৩টা ৩৫ মিনিটে দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন।
অ্যাডভেঞ্চারের নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন একসঙ্গে ৪৩ জন সাঁতারু। তাদের মধ্যে ১ জন বিদেশি, ২ জন নারী ও ২ জন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। এরমধ্যে সফল হয়েছেন ৪০ জন সাতারু। তবে সবচেয়ে কম সময়ে এটি পাড়ি দেওয়ার গৌরব অর্জন করেন রাব্বি রহমান। ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিটে সাঁতরে ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছান তিনি। রাব্বি বগুড়া জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন - বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন দুই নারীসহ ৪৩ সাঁতারু
আয়োজকেরা বাসিন্দারা জানান, সাড়ে ১৩ বছর বয়সী সাঁতারু রাব্বি রহমান সবচেয়ে কম সময়ে, কম বয়সে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার গৌরবও অর্জন করেন তিনি।
রাব্বি রহমান ছাড়া সাইফুল ইসলাম রাসেল ৩ ঘন্টা ৩১ মিনিটে পাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। ৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিটে পাড়ি দিয়ে তৃতীয় হয়েছেন সোজা মোল্লা। ধাপে ধাপে বিকেল ৫টার পর বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দ্বীপে পৌঁছান সব সাতারু।
কিশোর রাব্বি রহমান মোবাইল ফোনে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখছি আমি। আমার টার্গেট ছিল যে কোনো মূল্যে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে জয়ের স্বাদ নিতে হবে আমাকে। আল্লাহ আমার সেই আশা পূরণ করেছেন। আগামীতে আরও বড় বড় অ্যাডভেঞ্চারে অংশ নিতে চাই। এ জন্য সরকার ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, অ্যাডভেঞ্চার গুরুখ্যাত প্রয়াত কাজী হামিদুল হক সমুদ্র সাঁতারের উপযোগী বঙ্গোপসাগরের এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন। ২০০৬ সালে প্রথমবার আয়োজনে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির ও সালমান সাঈদ।
মতামত দিন