সকাল ১০.২৫ মিনিটের দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা
চট্টগ্রাম থেকে ১,৬৪২ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর মোট ৭ টি জাহাজ।
শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০.২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় ৯১৮জন রোহিঙ্গা।
সরকারের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে ২,৫০০ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরের থাকলেও বর্তমানে ১,৬৪২ জনকে স্থানান্তরে নৌবাহিনীর ৫টি ও সেনাবাহিনীর ১টিসহ মোট ৬টি জাহাজ ছাড়া বিশেষ পরিস্থিতির জন্য সংরক্ষিত আছে নৌবাহিনীর আরও একটি জাহাজ। এছাড়া স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য ৪টি স্পিডবোট, ৪টি দেশীয় নৌকা, নেভি ও কোস্টগার্ডের আরও ২টি নৌকাও কাজ করছে।
এরআগে, বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায় রোহিঙ্গা বোঝাই ৪০টি বাস। স্বেচ্ছায় ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়ন, নির্যাতন ও হত্যার কারণে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এছাড়া প্রায় ১ দশক ধরে রাখাইন রাজ্যে অব্যাহত অত্যাচারের কারণে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। বর্তমানে তাদের সংখ্যা কমপক্ষে ১১ লাখ।
১৩,০০০ একর বা ৫২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ভাসানচরে কমপক্ষে ১ লাখ রোহিঙ্গার জন্য প্রায় তিন মিটার উঁচু আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে নৌবাহিনী।
অন্যদিকে, স্থানান্তর প্রসঙ্গে বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছে, তার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
মতামত দিন