প্রেমিক মিঠুন ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়ির পেছনে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে আসা চার সহযোগীকে নিয়ে ধর্ষণ করে
রংপুরের তারাগঞ্জে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত সোমবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলার সয়ার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তারাগঞ্জ উপজেলার সয়ার ইউনিয়নে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন গত সোমবার রাতে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যায়। এ সময় স্কুলছাত্রী বাড়িতে একা ছিল। এরইমধ্যে মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে আসে তার প্রেমিক বদরগঞ্জ উপজেলার শেখেরহাট এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে মিঠুন। পরে মিঠুন ওই স্কুলছাত্রীকে বাড়ির পেছনে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায় এবং তার সঙ্গে আসা চার সহযোগীকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় স্কুলছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে ধর্ষকেরা পালিয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশীরা সংজ্ঞাহীন মেয়েটিকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ফলে মেয়েটি তাকে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে। তবে স্কুলছাত্রীর অবস্থা এখনও আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানালে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের হোতা মিঠুনসহ চার ধর্ষককে আটক করে পুলিশ। কিন্তু তাদেরকে তারাগঞ্জ থানায় নেওয়ার পথে নুরুজ্জামান নামে এক আসামি হ্যান্ডকাপ লাগানো অবস্থায়ই পালিয়ে যায়।
গ্রেফতার অপর তিন আসামি হল- মিঠুন, নাসিম এবং আল আমিন। আসামিদের সবার বাড়ি বদরগঞ্জ উপজেলার শেখেরহাট গ্রামে।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের হোতা মিঠুন নিজেকে সবুজ নামে পরিচয় দিয়ে স্কুলছাত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরে সুযোগমত তাকে ধর্ষণ করে। মিঠুনের বিরুদ্ধে আরও একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, “এ ঘটনায় ভিকটিম স্কুলছাত্রীর বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
তবে পুলিশের হ্যান্ডকাপসহ নুরুজ্জামান নামে এক আসামির পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
মতামত দিন