দখলকারীরা বনভূমি দখল করে হাটবাজার, দোকান, রিসোর্ট, কটেজ, কৃষি ফার্ম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা স্থাপন করেছেন
দেশের ৮৮ হাজার ২১৫ জন দখলদারের কবল থেকে সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সচিবালয়স্থ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, দেশের ৫ হাজার ৯৮২ ব্যক্তি ১লাখ ৪ হাজার ১৪৯.১৭ একর সংরক্ষিত বনভূমি জবর দখল করে হাটবাজার, দোকান, রিসোর্ট,কটেজ, কৃষি ফার্ম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ১৪০ জন ৮২০.৩৪ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং কলকারখানা স্থাপন করেছেন।
বন বিভাগের নামে রেকর্ডকৃত এসব অবৈধ দখলকৃত সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারে প্রথম অভিযান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কক্সবাজার বনবিভাগের অবৈধ দখলকৃত সংরক্ষিত বন উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। পরবর্তীতে দেশের অবশিষ্ট অঞ্চলের বনভূমি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সভায় আরো জানানো হয়, ৮২ হাজার ৯৩ জন ব্যক্তি ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৪৩ দশমিক ৫৫ একর সংরক্ষিত বনভূমি অবৈধ ভাবে দখল করে ঘরবাড়ি, কৃষি জমি তৈরি করেছে। সারাদেশে মোট ৩ লাখ ৩১ হাজার ৯০৭.৫২ একর সংরক্ষিত বনভূমির ১৩৮৬১৩.৬ একর মোট ৮৮ হাজার ২১৫ জন জবরদখলকারী দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বনের নামে রেকর্ডকৃত সকল সংরক্ষিত বনভূমি উদ্ধারের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মাহমুদ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন ) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মনিরুজ্জামান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী সহমন্ত্রণালয় ও বন অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মতামত দিন