‘রাজধানীর উন্নয়নে গৃহীত ড্যাপ বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সিটি করপোরেশনকে অন্তর্ভুক্ত করেই কাজ করা হবে’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী এবং ড্যাপের আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সিটি করপোরেশনের সাথে আলোচনা করে তাদের মতামত নিয়েই ড্যাপ বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “রাজধানীর উন্নয়নে গৃহীত ড্যাপ বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সিটি করপোরেশনকে অন্তর্ভুক্ত করেই কাজ করা হবে। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ বিষয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারসের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “নগরীকে বসবাসের উপযোগী, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশসহ অন্যান্য উপাদান যাতে সংরক্ষিত হয় এসব বিষয় মাথায় রেখে ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। শহরের ক্ষতি হয় অর্থাৎ বসবাসের অনুপযোগী হয় এমন কাজ আর করতে দেওয়া হবে না। কাজ করতে গেলে বাধা আসবে, সমস্যা সমাধান করেই সামনে এগোতে হবে।”
ড্যাপে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এগুলো শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এটি শুধু কাগজে সীমাবদ্ধতা আছে এমন বলা যাবে না। কারণ ড্যাপ প্রণয়নের পর থেকে কাজ হয়েছে এবং চলমান আছে।”
পূর্বাচল যে পরিমাণ মানুষের বসবাসের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে এর বেশি লোক যাতে থাকতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাজুল ইসলাম মন্তব্য করেন।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “পূর্বাচলে ১০ লাখ মানুষ বসবাসের জন্য বেইজ লাইন নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী রাস্তা-ঘাট, ভবনের উচ্চতা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসহ যাবতীয় কিছু নির্ধারণ করা আছে। এখন ওই এলাকায় যদি ১০ লাখের বেশি লোক বসবাস করে স্বাভাবিকভাবেই তা আর বাসযোগ্য অবস্থায় থাকবে না।”
সভায় নগর পরিকল্পনাবিদরা দেশের প্রতিটি পৌরসভায় বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোতে একজন করে নগর পরিকল্পনাবিদ নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক। কারণ পৌরসভায় নগর পরিকল্পনাবিদ থাকলে পরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, প্রকল্প প্রণয়ন ও যাচাই বাচাইসহ সবকিছু প্ল্যান করতে পারবে।”
এর আগে মন্ত্রী ঢাকা শহরকে বসবাসযোগ্য করার জন্য বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করে সেগুলো দূর করা এবং ভবিষ্যতে যাতে নতুন সমস্যা সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারসের সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন।
এ সময় নগর পরিকল্পনাবিদরা তাদের সুচিন্তিত মতামত তুলে ধরেন এবং তাদের দেয়া পরামর্শ ড্যাপ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন ড্যাপের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব কমার্সের সভাপতি ড. আকতার মাহমুদসহ প্রতিষ্ঠানের নগর পরিকল্পনাবিদরা উপস্থিত ছিলেন।
মতামত দিন