ব্যবসায়ী আশারাফ হোসেন জানান, সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ভোলামাছ খেতে বেশ সুস্বাদু
এক জালে ভাগ্য খুলেছে জেলে গফুরের। সুন্দরবন সংলগ্ন সাগরের কচিখালির চর এলাকার জেলে আব্দুল গফুরের জালে ধরা পড়েছে ভোলা মাছের ঝাঁক। এর ফলে ভাগ্য খুলেছে তার।
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের আব্দুল গফুর জানান, তিনি সাগরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। মাছ ধরতে কয়েকদিন ধরে সাগরে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন সাগরের কচিখালি এলাকায় জাল পাতলে একবারে ধরা পড়ে ৭২টি ভোলা মাছ। মাছগুলোর ওজন প্রায় ৮০০ কেজি। প্রতিকেজি মাছ ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সবমিলিয়ে আয় হয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। শ্যামনগরের সোনার মোড়ের মদিনা ফিস মৎস্য আড়ত থেকে ব্যবসায়ী আশারাফ হোসেন মাছগুলো কিনে পাঠিয়েছেন চট্টগ্রামে।
ব্যবসায়ী আশারাফ হোসেন জানান, সামুদ্রিক মাছ হিসেবে ভোলামাছ খেতে বেশ সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি এই মাছের চাহিদা ও দাম চড়া হওয়ার মূল কারণ হলো এ মাছের ফুলকা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। গ্রেড অনুযায়ী প্রতি কেজি ফুলকার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ভোলা মাছের ফুলকা দিয়ে প্রসাধনী ও মূল্যবান ওষুধ তৈরী হয় বলে জানালেন তিনি।
মতামত দিন